মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন।

সৌমিত্র সাহা,আখাউড়া প্রতিনিধি।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’’ যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন উপলক্ষ্যে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর এ আলম এর সভাপতিত্বে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভূইয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ রসূল আহাম্মেদ নিজামী, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার জামসেদ শাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শরীফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা , উপজেলা শিক্ষা অফিসার শওকত আকবর। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা জয়নাল আবেদীন একুশে ফেব্রুয়ারি ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন একুশ হচ্ছে বাঙালির স্বীকৃতি, আত্মমর্যাদা, চেতনা ও গৌরবের প্রতীক।তিনি বলেন ১৯৪৮ সালের ১৯ শে মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ।২১ শে মার্চ রেসকোর্স ময়দানের অনুষ্ঠিত সভায় তিনি ঘোষণা করেন উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা । পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি ঢাকায় পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন জিন্নাহর অনুকরণে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার নতুন ঘোষণা প্রদান করেন।১৯৫২সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী সরকারী ঘোষনায় ২১ শে ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়। সভা সমাবেশ মিছিল মিটিং একমাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় ।১৪৪ ধারা আইন ভঙ্গ করে ২১শে ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১০ জন করে মিছিল করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রথমে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। তৎখনাত গুলিবর্ষণে সালাম, রফিক,শফিক, জব্বার সহ অনেকই মৃত্যু বরন করে।এই ছাত্র আনন্দোলনের ফলে সারা দেশ ব্যাপি গণ আন্দোলনের রুপ ধারন করে ফলে সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষায় স্বকৃতি বাধ্য হন।